অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষাদান
বাংলাদেশে অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষাদান কোনও ঐচ্ছিক অতিরিক্ত বিষয় নয় - প্রতিবন্ধকতা, পটভূমি বা মানসিক স্বাস্থ্যের অবস্থা নির্বিশেষে প্রতিটি শিশু স্কুলে সাফল্য অর্জন করতে পারে তা নিশ্চিত করা অপরিহার্য। ইউনিসেফ, ডব্লিউএইচও এবং একাডেমিক গবেষণার গবেষণা তুলে ধরেছে যে কতজন বিশেষ শিক্ষার চাহিদা সম্পন্ন শিশু বাদ পড়েছে এবং কোভিড-১৯ এবং মানসিক স্বাস্থ্যের চ্যালেঞ্জগুলি কীভাবে এই ব্যবধানকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। এই পৃষ্ঠায় অন্তর্ভুক্তিমূলক শ্রেণীকক্ষ তৈরি করতে ইচ্ছুক শিক্ষকদের জন্য সর্বশেষ প্রমাণ, বিনামূল্যের সংস্থান এবং প্রতিফলন সরঞ্জাম একত্রিত করা হয়েছে।
বাংলাদেশে বিশেষ শিক্ষার চাহিদা বোঝা:
বাংলাদেশে অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষার উপর ক্রমবর্ধমান মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে, কিন্তু বিপুল সংখ্যক শিশু এখনও বঞ্চিত রয়েছে। ইউনিসেফের তথ্য অনুসারে, প্রায় ৭১টি শিশু (২-১৭ বছর বয়সী) দৃষ্টিশক্তি, শ্রবণশক্তি থেকে শুরু করে শেখা এবং আচরণ, অন্তত একটি ক্ষেত্রে কার্যকরী সমস্যার সম্মুখীন হয়। তবুও রোগ নির্ণয় সীমিত - বেশিরভাগ স্কুলে, বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায়, ডিসলেক্সিয়া, অটিজম বা উদ্বেগ সনাক্ত করার ব্যবস্থার অভাব রয়েছে। এই চাহিদাগুলি বোঝা হল অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষার দিকে প্রথম পদক্ষেপ।
শিক্ষার উপর কোভিড-১৯ এর প্রভাব:
কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে বাংলাদেশের ৩ কোটি ৭০ লক্ষ শিশুর শিক্ষা ব্যাহত হয়েছে। মাত্র এক-তৃতীয়াংশ শিক্ষার্থীর কাছে দূর থেকে শিক্ষা পৌঁছেছে, দুর্গম প্ল্যাটফর্ম এবং সহায়তার অভাবের কারণে প্রতিবন্ধী শিশুরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্কুলগুলি এখন লকডাউনের মানসিক ও সামাজিক ক্ষতি মোকাবেলা করার সময় এই শিক্ষার্থীদের হারানো অগ্রগতি পুনরুদ্ধারে সহায়তা করার জরুরি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি।
মানসিক স্বাস্থ্য চ্যালেঞ্জ:
সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে যে বাংলাদেশের প্রতি চারজন কিশোর-কিশোরীর মধ্যে একজন মাঝারি থেকে তীব্র বিষণ্ণতা বা উদ্বেগ অনুভব করে। তবুও বেশিরভাগ স্কুলে কোনও পরামর্শদাতা বা কাঠামোগত সহায়তা নেই। শিক্ষকরা প্রায়শই প্রথমে চাপ, বুলিইং বা বিচ্ছিন্নতার লক্ষণ লক্ষ্য করেন, যার ফলে দৈনন্দিন শ্রেণীকক্ষ অনুশীলনে মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতাকে অন্তর্ভুক্ত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।